সাহাব উদ্দিন শিহাব

ব্যালট নং-৭৮

নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী, চাকসু কেন্দ্রীয় সংসদ

"পরিবর্তন আসুক, বুদ্ধির চর্চা হোক, প্রশ্ন জারি থাকুক। জবাবদিহির সংস্কৃতির উত্থান ঘটুক- এ লক্ষ্যে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।"

আমার ইশতেহার আমার পরিচয় মতামত দিন

আমাকে অনুসরণ করুন:

#VoteForShihab

BALLOT 78

আমি কে?

আমি সাহাব উদ্দিন শিহাব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

আসন্ন চাকসু নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেল থেকে কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাহী সদস্যপদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমার ব্যালট নম্বর ৭৮; এই ৭৮ এর পেছনের গল্পও জানাব।

নিজেকে আমি কখনো সীমাবদ্ধ করিনি, হোম টাউন কক্সবাজার হলেও বলতে পছন্দ করি ‘আমার বাড়ি পুরো বাংলাদেশ’। সকল পথের-মতের মানুষের সাথে মিশেছি। ক্লাসরুমের বাইরে বিভিন্ন ক্লাব, সেমিনার, বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও একাডেমিক কার্যক্রমে সক্রিয় থেকেছি। স্কুল-কলেজে থাকতে বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতার মঞ্চে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে।

লেখালেখি ও চিন্তার জগতে আমি সবসময় স্বাধীনতা খুঁজেছি। তাই কোনো পত্রিকায় লেখা পাঠাইনি, কারণ অযাচিত হস্তক্ষেপ বা সেন্সরশিপ আমার পছন্দ নয়। নিজেরা উদ্যোগ নিয়েই গড়ে তুলেছি একটি প্ল্যাটফর্ম— ‘অনুধ্যান কেন্দ্র’, যেখানে আমরা লেখকের স্বাধীন ভাবনা, বিশ্লেষণ আর আলোচনা প্রকাশ করি। আছে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম, ম্যাগাজিন প্রকাশ, সভা-সেমিনার, ও সমালোচনামূলক পাঠচক্রান্ত– ‘অনুধ্যান পাঠচক্র’। তাছাড়াও একাডেমি ফোকাসড ইংরেজি ক্লাব— Sociology English Quorum-এর সাথে তিন বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।

আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি শুধু সংগঠন বা কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ থাকিনি; শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি, সামাজিক ন্যায়বিচার আর মুক্ত চিন্তার পক্ষে সবসময় সোচ্চার থেকেছি।

“Charity Begins at Home.” এই বক্তব্যকে ধারণ করে নিজের বিভাগ থেকেই পরিবর্তনের যাত্রা শুরু করেছি। এটেনডেন্স ইস্যুতে চলমান প্রহসন থেকে মুক্তি পেতে সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে স্ব-উদ্যোগে ‘শিক্ষক মূল্যায়ন’ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করেছি। কিছু মানুষের চক্ষুশূল হয়েছি ঠিকই কিন্তু শিক্ষার্থীদের আস্থা ও ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছি। অকৃত্রিম ভালোবাসা অর্জন করেছি।

জুলাই অভ্যূত্থান বিষয়ক একটিভিজমে নিবেদিত প্রাণ প্লাটফর্ম ‘জুলাই রেভ্যুলোশনারি এলায়েন্স’-এর সাথে গত এক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যূত্থানের তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, দেয়াল লিখন এবং ‘সমকালীন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের বিকাশ ও বুদ্ধিজীবীদের দায়’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করেছি। এছাড়াও ‘অনুধ্যান, দীর্ঘতম জুলাই : মুক্তির পথ কতদূর?’ শীর্ষক আরেকটি সেমিনারও আয়োজন করেছি।

আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি সচেতনতার মাধ্যমে মানুষের জীবনে মৌলিক পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব। রাজনীতি মানে গোষ্ঠীগত আধিপত্য নয়, এটি বরং মজলুমের কণ্ঠস্বর হওয়ার মাধ্যম।

দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই—বন্ধু, সহপাঠী, সহযোদ্ধা হয়ে। আমি চাই আমরা একে অপরকে জানি, বুঝি, প্রশ্ন করি। কারণ প্রশ্নই সকল সংকট সমাধানের পথ খুলে দেয়, জবাবদিহি নিশ্চিত করে, পরিবর্তন সূচিত করে।

আমরা যেন শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য বা স্বার্থের জন্য নয়, বরং একটি সচেতন, জবাবদিহিমূলক ও জ্ঞানভিত্তিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য একসাথে লড়াই করি। পরিবর্তন আসুক আমাদের চিন্তায়, বুদ্ধির চর্চা হোক আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাসে, প্রশ্ন জারি থাকুক আমাদের কথাবার্তায়।

একটি উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে —যেখানে প্রত্যেকে কথা বলবে, মত দেবে, যুক্তি তুলবে—আমাদের এই সংগ্রাম চলবে।

জবাবদিহির সংস্কৃতির উত্থান ঘটুক, দায়িত্বশীল নেতৃত্ব তৈরি হোক, আর এ বিশ্ববিদ্যালয় হোক জ্ঞানচর্চার উর্বর ক্ষেত্র—এ লক্ষ্যেই আমাদের যাত্রা, ইনশাআল্লাহ!

"রাজনীতি মানে গোষ্ঠীগত আধিপত্য নয়, এটি বরং মজলুমের কণ্ঠস্বর হওয়া উচিত।"

আমার ইশতেহার

শিক্ষক মূল্যায়ন: শিক্ষা ব্যবস্থার জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা

শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার গুণগত মানে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়েই চাকসুতে অংশ নিয়েছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, সেই সম্পর্কটি অনেক সময় একমুখী থেকে যায়। শিক্ষক পড়ান, শিক্ষার্থী শোনেন— কিন্তু এই পাঠদানের গুণগত মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত কোথাও প্রতিফলিত হয় না। বিশ্বজুড়ে শিক্ষক মূল্যায়ন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধারণাটি এখনো অবহেলিত। এটি কেবল শিক্ষকদের জবাবদিহিতার বিষয় নয়, বরং শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ও মানোন্নয়নের দাবি।

আমি বিশ্বাস করি, নিয়মিত শিক্ষক মূল্যায়ন চালু করা হলে শিক্ষকদের পাঠদানের মান উন্নত হবে, শিক্ষার্থীরা আরো অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা অভিজ্ঞতা পাবে। ফলে শুধুমাত্র এটেনডেন্সের জন্য প্রতিদিন কাউকে বাধ্য হয়ে শাটলের বাইশ কিলো দূর্ভোগ পোহাতে হবে না। একাডেমিক এরিয়ায় প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করবে। তাই আমি অঙ্গীকার করছি, শিক্ষার্থীদের মতামতকে নথিভুক্ত করে সেটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণে প্রভাবিত করার ব্যবস্থা করব। শিক্ষা হবে প্রশ্ন-উদ্দীপক, চিন্তাশীল ও দায়বদ্ধতার প্রতীক।

৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। নতুন ব্যাচ এলে সবসময়ই একই চিত্র— সিট নেই, অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা ভাড়া মেটাতে হিমশিম খান, হলগুলো অযত্নে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার পরিবেশ তৈরিতে প্রথম দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের আবাসন, পরিবহন, খাদ্য এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। তাই আমার প্রতিশ্রুতি:

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা: প্রতিবছর শিক্ষার্থী অনুপাতে কমপক্ষে ৫ শতাংশ করে আবাসন বৃদ্ধির মাধ্যমে আগামী ২০ বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হবে।
স্বল্পমেয়াদী সমাধান: সংকট নিরসনে হলে এক্সটেনশন নির্মাণ করা হবে।
আর্থিক সমতা: আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের খরচের বৈষম্য কমানো হবে এবং আবাসন ফি ন্যায্যতার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।
ফ্রি আবাসন: যেসব শিক্ষার্থী প্রকৃত অর্থে অসচ্ছল, তাদের জন্য আবাসন ফ্রি করার ব্যবস্থা করব।
সংস্কার: ধ্বংসপ্রাপ্ত হলগুলো জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে।
ভাড়া নিয়ন্ত্রণ: বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাসা ও কটেজসমূহের ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ উন্নয়নে মনিটরিং সেল কার্যকর

পরিবহন সংকট সমাধানে চক্রাকার বাসসেবা

নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াত সকল শিক্ষার্থীর অধিকার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বের শাটল ট্রেন শিক্ষার্থীদের বুকে জগদ্দল পাথর হয়ে জেঁকে বসেছে। নিয়মিত শিডিউল বিপর্যয়, লাইট-ফ্যানের অপর্যাপ্ততা, ফিটনেসবিহীন বগি, লক্কর ঝক্কর ইঞ্জিন, ধীরগতি এবং অপরিকল্পিত পাসিং এর ফলে এটি শুধু সময় নষ্ট করে না, বরং শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তা তৈরি করে।

আমার অঙ্গীকার হলো— রেললাইন ও শাটল ট্রেনের আধুনিকায়নের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে চক্রাকার বাসসেবা চালু করা হবে। নিয়মিত, সময়নিষ্ঠ এবং নির্ভরযোগ্য সার্ভিস থাকবে, যাতে আর শিক্ষার্থীদের দেরিতে ক্লাসে পৌঁছাতে না হয়। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) এর আওতায় নতুন বাস আনা হবে, ই-কার বৃদ্ধি করা হবে এবং জিরো পয়েন্ট থেকে শহর পর্যন্ত চক্রাকার বাস সার্ভিস নিয়মিত চালু করা হবে। শিক্ষার্থীদের সময় ও নিরাপত্তা নিয়ে আর কোনো প্রকার অবহেলা চলবে না।

খাবারের মানোন্নয়ন, ভর্তুকি বৃদ্ধি, ডেডিকেটেড নিউট্রিশনিস্ট অফিসারের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ফুড মনিটরিং

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং, ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়ন, ভর্তুকি বৃদ্ধি এবং ডেডিকেটেড নিউট্রিশনিস্ট অফিসারের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ফুড মনিটরিং করা হবে।

ফুড কমিটি গঠন: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী ও স্টাফ প্রতিনিধিসহ একটি “খাবার মানোন্নয়ন কমিটি” গঠন করা হবে।
নিউট্রিশনিস্ট নিয়োগ: একজন পুষ্টিবিদ (Nutritionist) নিয়োগ দিয়ে মেনু পরিকল্পনা ও মান তদারকি প্রয়োগ করা হবে।
পুষ্টি মান ও নিরাপত্তা নীতি: প্রতিদিনের পুষ্টি উপাদান নির্ধারণ, খাদ্য প্রস্তুতি ও সংরক্ষণের স্ট্যান্ডার্ড তৈরি।
ভর্তুকি ও অর্থায়ন: খাবারের দাম কমানোর জন্য নির্ধারিত ভর্তুকি ও তহবিল ধার্য করা হবে।
মনিটরিং ও ফিডব্যাক: রান্নাঘর ও পরিবেশন স্থানের পরিচ্ছন্নতা, খাবারের গুণমান, ফিডব্যাক সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণ করা হবে।
প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ: কিচেন স্টাফ ও অপারেটরদের হাইজিন ও পুষ্টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ব্যবহার করানো হবে।

বিনামূল্যে অফিসিয়াল একাডেমিক কপি প্রেরণ ব্যবস্থা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম অথবা বিদেশে ভর্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানকে ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেটের অফিসিয়াল কপি প্রেরণের ক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরাসরি বিনামূল্যে (কোনো ফি ছাড়াই, ডাক/কুরিয়ার খরচও বহন করে) পাঠানোর একটি স্থায়ী নীতি প্রণয়ন করতে কাজ করব।

কার্যকরী ব্যবস্থার মূল দিক:

অফিস টু অফিস প্রেরণ: সরাসরি রেজিস্ট্রার/এক্সাম অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ।
রেকর্ড ও ট্র্যাকিং সিস্টেম: পাঠানো নথির জন্য একটি ট্র্যাকিং নথি থাকবে যাতে শিক্ষার্থী জানতে পারবেন তার নথি কোথায় পৌঁছেছে।
নিয়মিত পর্যালোচনা: প্রতি সেশন শেষে কতগুলো নথি বিনামূল্যে পাঠানো হয়েছে, কতটি সফলভাবে গিয়েছে— সেই তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

মানসিক স্বাস্থ্য সাপোর্ট সেল কার্যকর

শরীরের মতো মনের সুস্থতাও শিক্ষা জীবনের অপরিহার্য অংশ। আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা এখনো অনেকাংশে ট্যাবু। অথচ শিক্ষার্থীরা জীবনের সবচেয়ে চাপযুক্ত সময় পার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা, পারিবারিক চাপ— সব মিলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া খুব স্বাভাবিক। আমি বিশ্বাস করি, একজন শিক্ষার্থী যেমন হাসপাতালে গিয়ে শারীরিক চিকিৎসা নিতে পারে, তেমনি মানসিক চাপ বা ডিপ্রেশনেও তার প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা পাওয়ার অধিকার আছে।

তাই আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সাপোর্ট সেল কার্যকর করা হবে। সেখানে নিয়মিত মনোবিদ, কাউন্সেলিং সার্ভিস এবং সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন থাকবে। একজন শিক্ষার্থীও যাতে নিজেকে একা না ভাবেন— সেটিই হবে আমার লক্ষ্য।

কেন্দ্রীয় ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক কার্যকর

একবিংশ শতাব্দীর বিশ্ববিদ্যালয় মানে শুধু শ্রেণিকক্ষ নয়, বরং ডিজিটাল জগতে সমান সুযোগ পাওয়া। অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নেটওয়ার্ক সমস্যা প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা। শিক্ষার্থীরা গবেষণা, পড়াশোনা বা অনলাইন রিসোর্সে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।

আমরা চাই একটি কেন্দ্রীয় ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক— বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল, ক্লাসরুম ও গবেষণাগারে যার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ থাকবে। ইউজিসির সহযোগিতায় এ ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক ও গবেষণামূলক কাজে আর নেটওয়ার্ক সমস্যায় বাধাগ্রস্ত না হয়। আমার অঙ্গীকার হলো, বিশ্ববিদ্যালয় হবে একটি ডিজিটাল, মুক্তচিন্তার কেন্দ্র যেখানে জ্ঞানের প্রবাহ কোনো প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতায় আটকে থাকবে না।

ভর্তির সাথে সাথেই একাডেমিক মেইল ও স্টুডেন্ট আইডি নিশ্চিতকরণ

শিক্ষার্থী পরিচয় শুরু হবে ভর্তির দিন থেকেই। একজন শিক্ষার্থী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, তখনই তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পর্ক শুরু হয়। অথচ আমাদের বাস্তবতায় দেখা যায়, ভর্তি হয়ে বছরের পর বছর কাটে কিন্তু শিক্ষার্থীর হাতে কোনো একাডেমিক আইডি বা ইমেইল পৌঁছায় না। ফলে সে গবেষণা ডাটাবেজ, একাডেমিক কনফারেন্স একসেস, সূলভে বিভিন্ন সাবস্ক্রিপশন ক্রয়সহ অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।

আমার প্রতিশ্রুতি হলো— ভর্তির দিনেই শিক্ষার্থীর হাতে একাডেমিক ইমেইল ও ডিজিটাল আইডি পৌঁছে দেওয়া হবে। এটি হবে একটি আইডি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যাবে। তথ্যপ্রবাহ হবে সহজ, সুযোগ-সুবিধায় প্রবেশাধিকার হবে দ্রুত। এভাবেই আমরা একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে চাই।

নিরাপত্তা জোরদার

নারী নিরাপত্তা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সুযোগ সৃষ্টি
নারীবান্ধব জনপরিসর নির্মাণ
স্লাটশেমিং ও বুলিং প্রতিরোধে সাইবার সিকিউরিটি সেল কার্যকর
প্রশাসনে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি

বহিরাগত প্রবেশ সীমিতকরণ

শাটলে এবং ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ
আশেপাশের অধিবাসীদের সাথে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ

প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনা

ভর্তি থেকে সার্টিফিকেট উত্তোলন পর্যন্ত একাডেমিক-প্রশাসনিক সকল কার্যক্রমের পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন
ব্যাংক লাইনের দুর্ভোগ নিরসন
দীর্ঘসূত্রিতা বিলোপ, কাগজপত্র সংশোধন সহজিকরণ, রেজাল্ট প্রাপ্তির ভোগান্তি নিরসন
প্রশাসনিক তথ্যের ডিজিটাল সংরক্ষণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ

একাডেমিক ও পেশাগত উন্নয়ন

শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক জার্নাল ও রিসোর্স অ্যাক্সেস নিশ্চয়তা
বিশ্ববিদ্যালয়-ইন্ডাস্ট্রি রিলেশন গড়ে তুলে ইন-ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট ব্যবস্থা
প্রতি সেমিস্টারে নিয়মিত জব ফেয়ার আয়োজন
স্কিল ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ ও ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেল সক্রিয়করণ

যেভাবে ভোট দিবেন

ভোটের তারিখ ও সময়

১৫ অক্টোবর ২০২৫

সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা

দিন

ঘন্টা

মিনিট

সেকেন্ড

যেসব কেন্দ্রে ভোট দিবেন

বিজ্ঞান অনুষদ
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ
সমাজবিজ্ঞান অনুষদ
ড. আব্দুল করিম ভবন
ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ
মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ অনুষদ
শিক্ষা অনুষদ
ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস
জামাল নজরুল ইসলাম রিসার্চ সেন্টার
চারুকলা অনুষদ
চাকসু ভবন
একে খান আইন অনুষদ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি কলেজ

চাকসুতে আমি আপনার একজন হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি, নেতৃত্ব দিতে নয়৷ আমাকে যোগ্য মনে করলে আপনার মূল্যবান ভোট দিয়ে পাশে থাকুন

আপনার মতামত জানান

আপনার যেকোনো প্রশ্ন, পরামর্শ বা অভিযোগ জানাতে পারেন। আপনার প্রতিটি মতামতের মূল্য আমাদের কাছে অপরিসীম।

মতামত দিন